মোস্তফা মিয়া- পীরগঞ্জ,রংপুর থেকে

 রংপুরের পীরগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জব্দকৃত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ড্রেজারমেশিন জব্দ করলেও রহস্যজনক কারনে তা উধাও । গত শনিবার রাতে উপজেলার চতরা ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দর্শীদের বিবরনে জানাযায়, ওইদিন পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর নের্তৃত্বে করতোয়া নদীর টোংরাদহ নামক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চতরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত ছাইফুল ইসলামের পুত্র সাগর মিয়াসহ সংঘবব্ধ  হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল হোসেনের নির্দেশে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টেরপেয়ে অবৈধ ভাবে উত্তোলনকারি বালু দস্যুর মুলহোতা নখারপাড়া গ্রামের উমর আলী মাষ্টারের পুত্র মামুন (৩০) ও বদনাপাড়া গ্রামের মৃত তারা মিয়ার পুত্র আরিফিন নাজমুল (২৬) গংরা কৌশলে সটকে পড়ে। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ১টি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ জব্দ পুর্বক অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়ে তা থানায় জমাদানের নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে ঘটনার পরের দিন উক্ত ইউপি চেয়ারম্যন পীরগঞ্জ থানায় মেশিনটি হারিয়ে যাওয়ার একটি সাধারন ডায়েরি করে, যা রীতিমত এলাকায় আইনের শাসনের প্রতি আস্থার অভাব দেখা দিয়েছে বলে অনেকের অভিমত। এদিকে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, মেশিনটি নদীতে ভাসমান থাকায় রাতের আধারে মামুন মিয়া লোকজনসহ মেশিনটি নিয়ে যায় বলে জানা যায় ।

অত্র ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন- মেশিনটি সন্ধ্যায় আমার জিম্মায় দিয়ে গেলেও তা নদী থেকে রাতে উদ্ধার করে ইউপি পরিষদে আনতে পারিনি। পরদিন সকালে লোক মারফত জানতে পারি সেটি কেবা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় আমি একটি সাধারন ডায়েরি করেছি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি (ভূমি) আবতাবুজ্জামান আল ইমরান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান-আমি ভ্রাম্যমান আদালতে জব্দকৃত মেশিনটি অত্র ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়েছি। এখন বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।